বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “যে সমাজে সুন্দর, সুকুমারবৃত্তি, ন্যায়-ইনসাফ ও মূল্যবোধের চর্চা হয় সে সমাজই ভালো থাকে এবং সুখী, সমৃদ্ধ ও শাান্তির সমাজে পরিণত হয়।
তিনি আজ ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা মহানগরীর কাফরুল উত্তর থানার উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। থানা আমীর রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি হাফেজ আশিকুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা ও সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লস্কর মুহাম্মদ তাসলিম, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক প্রমূখ।
ডা.শফিকুর রহমান বলেন, “আমাদের দেশের রাজনীতিতে একটি স্লোগান আছে, ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, আর দলের চেয়ে দেশ বড়’। কিন্তু আমাদের দেশের প্রচলিত রাজনীতিতে এর কোন প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায় না। জামায়াতও রাজনৈতিক ময়দানে একই শ্লোগান দিয়ে থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলো আমরা সে স্লোগান দিয়েই আমাদের দায়িত্ব শেষ করি না বরং তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করে থাকি।
রাসূল (সা.) বলেছেন, যারা মানুষের কল্যাণে কাজ করে তারাই উত্তম। জামায়াতে ইসলামী একটি গণমুখী ও কল্যাণকামী রাজনৈতিক দল হিসাবে গণমানুষের কল্যাণে কাজ করার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছে। মানুষের জন্য আমাদের এই কল্যাণকামীতা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে-ইনশাআল্লাহ।”
তিনি বলেন, আমরা সম্ভাব্য শীত মোকাবেলায় অগ্রিম প্রস্তুতির অংশ হিসাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করছি। আমরা ভালো কাজের সকল কৃতিত্ব নিতে চাই না বরং আমরা অন্যদের পথ দেখানোর চেষ্টা করছি মাত্র। আমরা আশা করবো সকলেই এই মহতি কাজে এগিয়ে আসবেন এবং বিপন্ন ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। আমরা এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছি যে সমাজে সকল নাগরিকের অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে। সে লক্ষ্যে না পোঁছা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্র, অপশাসন ও দুঃশাসনমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে জামায়াতে ইসলামী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা এমন এক সমাজ জাতিকে উপহার দিতে চাই যেখানে মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ থাকবে না। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষ সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করবেন। তিনি ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
Discussion about this post