শোক সংবাদ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঝিনাইদহ জেলার প্রবীণ সদস্য (রুকন) ও গান্না ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি হারুনুর রশিদ খান বার্ধক্যজনিত কারণে ৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টায় ৭৬ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি স্ত্রী, ৩ পুত্র ও ১ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। ৯ জানুয়ারি বেলা ২টায় নিজ বাসভবনে জানাযা শেষে তাঁকে বেতাই সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শোক সংবাদ-২
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের ক্যান্টনমেন্ট থানার সাবেক আমীর ও ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের প্রবীন রুকন আবু তালেব মণ্ডল ৯ জানুয়ারি বুধবার রাত ১১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতাসহ নানাবিধ শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে এবং ১ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার গ্রামের বাড়ী লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে।
মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা ১০ জানুয়ারি সকাল ৮টায় ভাষানটেক নিজ বাসস্থান সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় মহানগরীর শূরা সদস্য ও ক্যান্টনমেন্ট থানার আমীর মোঃ আব্দুস সাকি, জামায়াত নেতা নাজিবুর রহমান, ইকবাল হোসেন খান ও আলী হোসাইন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। জানাজায় ইমামতি করেন ভাষানটেক থানা আমীর ডাঃ মোঃ আহসান হাবীব। পরে তার লাশ লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগরে নেওয়া পর বাদ জুমআ দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি সহ বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ মরহুমের নামাজে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।
শোকবাণী
হারুনুর রশিদ খান ও আবু তালেব মণ্ডল এর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১০ জানুয়ারি এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, হারুনুর রশিদ খান ও আবু তালেব মণ্ডল এর ইন্তিকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের ২ জন নিবেদিত প্রাণ দাঈকে হারালাম। তাঁরা ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে তাঁদের অনেক অবদান রয়েছে। আমি তাঁদের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
শোকবাণীতে তিনি আরও বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাঁদেরকে ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাঁদের কবরকে প্রশস্ত করুন। তাঁদের গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁদের জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁদেরকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তাঁদের শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।
Discussion about this post