বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সম্মানিত আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “বিগত সময়ে শহীদ নেতৃবৃন্দ, তাঁদের পরিবার, সকল বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি সহ এদেশের অধিকাংশ মানুষই ছিল মজলুম। বিশেষ করে শহীদ নেতৃবৃন্দ ও ছাত্র-জনতা যে লক্ষ্যকে সামনে রেখে নিজের জীবন বিলিয়ে দিলেন, সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে আল্লাহর উপর সর্বদা ভরসা করে সকল প্রতিকূলতা মাড়িয়ে নির্ভয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।”
২৪ জানুয়ারি রংপুর মহানগরী ও জেলা নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রংপুর মহানগরী আমীর উপাধ্যক্ষ এটিএম আজম খান এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, রংপুর জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী। আরও উপস্থিত ছিলেন, রংপুর মহানগরী সেক্রেটারি কে,এম আনোয়ারুল হক কাজল, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক প্রমুখ।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “দায়িত্বশীল হিসেবে আমরা যতদিন আল্লাহর পক্ষ থেকে যতটুকু হায়াত পাবো, ততদিন তাঁরই নিঃস্বার্থ গোলামীর মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো, ইনশাআল্লাহ। আমাদের সকল কার্যক্রম, কর্মতৎপরতা, কর্মসূচি এবং নিজের অর্থ, মেধা, সময় ও শ্রম সব কিছুই হবে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির অর্জনের জন্য।”
তিনি বলেন, দায়িত্বশীল হিসেবে আমাদেরকে নিম্নোক্ত ৪টি গুণ অর্জন করতে হবে।
১. সহী নিয়তঃ দুনিয়াবী কোন স্বার্থ অর্জন নয় বরং আল্লাহর সন্তুষ্টিই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য।
২. জ্ঞান অর্জনঃ দুনিয়াবী সব ধরনের জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তবে কোরআন-হাদিসের জ্ঞান অর্জনের বিকল্প নেই।
৩. সৎ সাহসঃ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ভয় পাওয়া যাবে না। আল্লাহর উপর ভরসা করে দ্বীনের দায়িত্ব বিরামহীন ভাবে পালন করতে হবে।
৪. কঠোর পরিশ্রমী হওয়াঃ যে কাজে বেশি ফল পাওয়া যাবে সেই কাজের সফলতার জন্য কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে। সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে এবং সর্বক্ষেত্রে কর্মতৎপরতা বাড়াতে হবে।