ভারতের রাজধানী দিল্লিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় অর্ধ শতাধিক মানুষ নিহত ও কয়েকশ মানুষের আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমান ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “গত কায়েক দিন যাবত ভারতের বিভিন্ন স্থানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছে। ইতোপূর্বে এ আইনটি নিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় এবং সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রায় ১০০ আবেদন জমা পড়ে। ঘটনার গভীরতায় জাতিসংঘ, ওআইসি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ইউরোপীয় পার্লামেন্টসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানায়।
আমরাও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনটি প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ইতোমধ্যেই ভারতের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছে। ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে আজ পর্যন্ত সংঘর্ষে অর্ধ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে এবং কয়েকশ মানুষ আহত হয়েছে। পরিস্থিতির ভয়াবহতায় পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে হয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলেছে, পরিস্থিতি আরো জটিল রূপ ধারণ করতে পারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েনেরও দাবি উঠেছে। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে আগামী এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সহিংস ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনের প্রতি আমরা গভীর সমবেদান জানাচ্ছি এবং আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলে আশা করছি।
নাগরিকত্ব সংশোধন আইনটি ভারতের জনজীবনকে অশান্ত করে তুলেছে। অন্যান্যদের মত আমরাও প্রতিবেশী দেশের নাগরিক হিসেবে আশা করি- শান্তি, স্থিতিশীলতা ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনটি প্রত্যাহার করে নিবেন”।