করোনা ভাইরাসের বিস্তৃতিতে জনমনে ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার পাশাপাশি হঠাৎ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ২১ মার্চ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন,
“এক দিকে দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ কিটের অপ্রতুলতা, অপরদিকে বাজারে পণ্য-সামগ্রীর অপর্যাপ্ততা নতুন সংকট তৈরি করেছে। হঠাৎ করে চাল-পেঁয়াজসহ প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী পাইকারি বাজারে কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং চালের দাম ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে আরো ১৪/১৫টি পণ্যের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপদ-মুসিবতের সময় যারা জিনিসের দাম বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দেয় তারা মানবতার দুশমন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করা যেমন ঠিক নয়, তেমনি জিনিসপত্র মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করাও উচিত নয়। উভয়টাই মানবতার সাথে নির্মম পরিহাস। মানুষের বিপদ-আপদ অর্থাৎ সংকটকালে যারা জিনিসপত্র মজুদ করে রাখে তাদের সম্পর্কে রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি খাদ্য-শস্য মজুদ করে রাখে, আল্লাহ পাক তার উপর দারিদ্র্যতা চাপিয়ে দেন।’ (আবু দাউদ-৫৫)। ‘যে খাদ্য শস্য গুদামজাত করে রাখে সে অভিশপ্ত।’ (ইবনে মাজাহ)। মজুদদার ও মুনাফাখোর উভয়ই মানবতার ঘৃণ্য দুশমন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মানবতার সাথে যারা পরিহাস করে সেখানে আল্লাহর রহমত পাওয়া কঠিন। বিপদ-আপদ যেমন আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে ঠিক তেমনি আল্লাহই তা নিরসন করেন। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যক্তিকে অসৎ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থেকে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থী হতে হবে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের দায়িত্ব। যদি সরকারের পক্ষ থেকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়া হয়, তাহলে তা আরো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা বিবেচনা করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট দূরীকরণ এবং দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”