১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধংসের ঘটনার রায়ে আসামীদের খালাস দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান ১ অক্টোবর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের অযোধ্যায় ৫ শত বছরের পুরনো ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় তখন গণতান্ত্রিক বিশ্বের শান্তিকামী জনতা ও মুসলিম বিশ্বের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল।
কিছুদিন পূর্বেও ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মাণের অনুমতি দিয়ে রায় প্রদান করে। এ রায় সম্পর্কে খোদ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের একজন সাবেক বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছিলেন।
দীর্ঘ ৩০ বছর পর বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের ভারতীয় একটি বিশেষ আদালত খালাস প্রদান করেছে। বিশেষ আদালতের বিচারক তার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন মসজিদ ভাঙ্গার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ১৯৯২ সালে ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার দৃশ্য সারা দুনিয়া প্রত্যক্ষ করেছে। তারপরও প্রমাণ না পাওয়ার কথা বিশ্ববাসীকে হতবাক করেছে। মূলত এ রায়ের মাধ্যমে উগ্র সাম্প্রদায়িকতাকেই স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।”