১৯৭৪ সালে যে কলেজে পা রেখে নিজের মাঝে একটি অন্যরকম শিহরণ অনুভব করেছিলাম। অপূর্ব তার রূপ সৌন্দর্য। শিক্ষার মান এবং গৌরব যুগের পর যুগ ধরে। এম.সি. কলেজের একজন নগণ্য ছাত্র হিসেবে পরিচয় দেয়া ছিল অতি সম্মানের। শিক্ষক এবং ছাত্রদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল পিতা-পুত্রের। যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এদেশকে অসংখ্য সচিব, সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিপুল সংখ্যক সোনার মানুষ উপহার দিয়েছে। বৃটিশ ভারত থেকে শুরু করে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ আমলেও যার অবস্থান ছিল উচ্চ শিখরে। আজকে কিছু সংখ্যক অমানুষের দ্বারা পবিত্র এই শিক্ষাঙ্গন বার বার কলুষিত হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৮ ঘটিকায় যুবক-যুবতী দম্পতির উপরে এম.সি. কলেজের ছাত্রবাসে যে নারকীয় অপকর্ম চালানো হয়েছে, তাতে গভীরভাবে লজ্জিত এবং দুঃখিত। আজ মনে প্রশ্ন জাগে- একি আমার সেই এম.সি. কলেজ এবং এম.সি. কলেজ ছাত্রাবাস। হে মজলুম দম্পতি! তোমরা আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও। আমরা দেখতে চাই, এই পশুদের এমন শাস্তি হোক, ওদের কোন বংশধর আর যেন হায়েনার মত নিরীহ মানুষগুলোর দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহস করতে না পারে। এখন শুধু আমাদের দেখার পালা কর্তাব্যক্তিরা কি করে?