কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের সকল উপজেলা ও থানা শাখার কর্মপরিষদ সদস্যদের নিয়ে ২৮ ও ২৯ মে দুই দিনব্যাপী এক শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত হয়। এই শিক্ষাশিবিরে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক জনাব মোবারক হোসেন। শিক্ষাশিবিরের শেষ দিন ২৯ মে প্রধান অতিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মত একটি সুশৃঙ্খল ও মানবকল্যাণে নিয়োজিত সংগঠনে শামিল হওয়ার সুযোগ লাভ করায় মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি, আল-হামদুলিল্লাহ। রাসূল সা. এর দেখানো ও সাহাবায়ে কেরামের অনুসৃত পন্থায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইবাদাতে আত্মনিয়োগ করতে হবে। এভাবেই আমরা আল্লাহর করুণা পেতে পারি। আর মহান আল্লাহ আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে গেলেই কেবলমাত্র আমাদের প্রকৃত সফলতা নিশ্চিত হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা শপথের কর্মী। আল্লাহর গোলামী করার জন্য আমরা আত্ম-নিবেদিত। এজন্য কুরআনের বিধানের আলোকে নিজেকে তৈরী করে দেশ, সমাজ ও জাতি গঠনে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো, ইনশাআল্লাহ।
আমীরে জামায়াত আরো বলেন, ইসলামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো অপর ভাইকে প্রাধান্য দেওয়া। যে সমাজে পারস্পরিক জীবনে অপরকে প্রাধান্য দেওয়া হয়, সে সমাজের পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে না। ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলনের একজন কর্মী হিসেবে আমাদের কথার সাথে কাজের মিল থাকতে হবে। যারা কথা অনুযায়ী কাজ করে না, আল্লাহ তাদেরকে পছন্দ করেন না। সমাজেও তাকে ঘৃণার চোখে দেখা হয়।”
এ শিক্ষাশিবিরে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, জনাব হামিদুর রহমান আযাদ এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য ড. আলমগীর বিশ্বাস, জনাব আবদুল মতিন ও মাওলানা আশেক এলাহী এবং কুষ্টিয়া জেলা শাখা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ একেএম আলী মহসিন, ঝিনাইদহ জেলা শাখা জামায়াতের আমীর জনাব আলী আযম মোঃ আবু বকর, চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা জামায়াতের আমীর জনাব আনোয়ারুল হক মালিক ও মেহেরপুর জেলা শাখা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর জনাব মুহাম্মাদ মাহবুবুল আলম।