যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান ১৩ ডিসেম্বর নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন।
“১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’। আমাদের জাতীয় জীবনে এ দু’টি দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছেন সেই সব শহীদ বুদ্ধিজীবীগণ ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের অবদানের কথা আমরা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এবং মহান আল্লাহর কাছে তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। যারা দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশকে মুক্ত করেছেন আমি সে সব মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
দেশবাসী আজ এমন এক সময় ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ ও ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করতে যাচ্ছে, যখন দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর ও ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্বাধীনতার মূল অর্জন গণতন্ত্রকে হারিয়ে দেশ আজ এক অনিশ্চিত গন্তব্যের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। জনগণের ভোটাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। দুর্নীতি-দুঃশাসন গোটা জাতিকে গ্রাস করেছে। মানুষের জান-মাল-ইজ্জত-আব্রুর কোনো নিরাপত্তা নেই। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল থেকে আজ দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য খুবই লজ্জাজনক।
বিরোধী মতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে এবং নেতা-কর্মীদেরকে নানাভাবে হয়রানি করা অব্যাহত রয়েছে। দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামাগণকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। লেখক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ এমনকি পেশাজীবীরাও সরকারের জুলুম-নিপীড়ন থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুদৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে আলোচনা সভা ও দোয়ার মাধ্যমে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করার জন্য আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল শাখা ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
সেই সাথে ‘মহান বিজয় দিবস’ উপলক্ষ্যে আমি দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং দেশবাসীর সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করছি।”