বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সদস্য (রুকন) মাওলানা কায়েম উদ্দিন দীর্ঘদিন যাবত হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। ১০ এপ্রিল ভোর ৩টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি স্ত্রী, ৪ পুত্র ও ২ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। ১০ এপ্রিল বাদ জোহর ভুরুঙ্গামারী উপজেলাস্থ নিজ বাড়িতে জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শোকবাণী
মাওলানা কায়েম উদ্দিনের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১০ এপ্রিল ২০২২ এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, মাওলানা কায়েম উদ্দিনের ইন্তিকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ দাঈকে হারালাম। তিনি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। আমি তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
শোকবাণীতে তিনি আরো বলেন, তাঁকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাঁর কবরকে প্রশস্ত করুন। তাঁর গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁর জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।
অপর এক যুক্ত শোকবাণীতে জামায়াতে ইসলামী কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আমীর মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকী ও জেলা সেক্রেটারী মাওলানা নিজাম উদ্দিন গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, মাওলানা কায়েম উদ্দিন ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক জীবন-যাপনের চেষ্টা করতেন। তিনি দ্বীন প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গিয়েছেন। আমরা তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। আল্লাহ তায়ালা তাঁর জীবনের সকল নেক আমল কবুল করে তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে দাখিল করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।