১০ মহররম পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমান ৮ আগস্ট নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ
“এ দিনটাকে উত্তম ইবাদাত, যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন ও জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে আপোষহীন সংগ্রামের অঙ্গীকার গ্রহণ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক আহবান জানাচ্ছি।
সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে পবিত্র আশুরার দিনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময়। ইতিহাসের অকাট্য সত্য, বিশেষ করে এ মর্যাদাপূর্ণ দিনটিতে ফেরাউন এবং তার সহযোগী জালিম শক্তির হাত থেকে হযরত মূসা (আ:) এবং তাঁর ক্বওমকে আল্লাহ পাক নাজাত দান করেন। এছাড়াও এ দিনটিতে ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার বিবরণ বিভিন্ন বই-কিতাবে রয়েছে।
১০ মহররম কারবালা প্রান্তরে বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হোসাইন (রাঃ) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদেরকে কারবালার প্রান্তরে অত্যন্ত নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁদের সকলকে মর্যাদাপূর্ণ শহীদ হিসেবে কবুল করুন। এই ঘটনার গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। আজও মুসলিম উম্মাহ অত্যন্ত ব্যথিত হৃদয় নিয়ে কারবালার ঘটনা স্মরণ করে আবেগ আপ্লুত হয়। হযরত হোসাইন (রাঃ) অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গিয়ে সেদিন কারবালা প্রান্তরে পরিবার-পরিজন নিয়ে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। রাসূল (সা:) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা এবং তাঁর সাহাবীদের প্রবর্তিত খেলাফতি শাসন ব্যবস্থা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য তিনি শাহাদাত বরণ করেছেন। ইসলামী খেলাফতের ব্যাপারে কোনো ধরনের আপোষ না করার কারণেই কারবালার ঘটনা ঘটেছিল। কারবালার ঘটনা আমাদেরকে অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে আপোষহীন ভাবে সংগ্রাম করার কথাই শিক্ষা দেয়।
আজ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে যে শোষণ, জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন চলছে তা থেকে মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে আপোষহীনভাবে সংগ্রাম করার কথাই ১০ই মহররমের ঘটনা আমাদেরকে শিক্ষা দেয়। কারবালার ঘটনা থেকে শিক্ষা লাভ করে সেই সংগ্রামী চেতনা ধারণ করে অন্যায়, অসত্য, শোষণ, জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম গড়ে তোলার জন্য আমরা দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি”।