বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী জনাব আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের অবদানের কথা স্মরণ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান ২১ নভেম্বর ২০২২ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন,
“জনাব আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ইসলামি আন্দোলনের এক আপোষহীন নেতা ছিলেন। দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, মানবাধিকার, জনগণের ভোটাধিকার এবং ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তিনি যে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন তা তাঁকে যুগ যুগ ধরে স্মরণীয় করে রাখবে।
২০০১-২০০৬ মেয়াদে তিনি ৪ দলীয় জোট সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে অত্যন্ত সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রী থাকাকালে তিনি সততা, দক্ষতা ও স্বচ্ছতার সাথে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করে নজির স্থাপন করেন।
সরকার জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে জামায়াতকে নেতৃত্ব শূন্য করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় জনাব মুজাহিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে। দলীয় লোকদের দ্বারা মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। যে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে জনাব আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে মৃত্যুদ- প্রদান করা হয়, তিনি নিজেই দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। যিনি নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত, তার বিচারও ন্যায়ভ্রষ্ট। সময়ের ব্যবধানে প্রমাণিত হবে শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য জনাব মুজাহিদসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে।
২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। শহীদ আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদসহ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের রক্তের বিনিময়ে একদিন এ দেশে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।
মহান রাব্বুল আলামীন জনাব আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের শাহাদাত কবুল করে তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা দান করুন। তাঁর অসমাপ্ত কাজ আঞ্জাম দেয়ার জন্য আমি জামায়াতের সর্বস্তরের জনশক্তির প্রতি আহবান জানাচ্ছি ও দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।”