বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের মান্যবর এ্যাম্বাসেডর মি. ইউসুফ সালেহ ওয়াই. রামাদান ১৬ অক্টোবর বুধবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় অফিস ভিজিট করেন এবং আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। সাক্ষাৎ শেষে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান ও ফিলিস্তিনের মান্যবর এ্যাম্বাসেডর মি. ইউসুফ সালেহ ওয়াই. রামাদান এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং এ বক্তব্য রাখেন।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “সারা বিশ্বের মুসলিম দেশের মত ফিলিস্তিনের সাথে আমাদের চিরদিনের আন্তরিক সম্পর্ক বিদ্যমান এবং এ সম্পর্ক সামনে অটুট থাকবে, ইনশাআল্লাহ। বহু দিন ধরে এবং এই মুহূর্তে ফিলিস্তিন একটি নির্যাতিত দেশ। তাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চলছে। দিনের পর দিন শহীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দল-মত-নির্বিশেষে সকল মানুষের সমর্থন রয়েছে। ফিলিস্তিনের জন্য আমাদের দোয়া, ভালবাসা, সহযোগিতা, সমর্থন রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই ফিলিস্তিন একটি জাতি রাষ্ট্র হিসেবে পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে বিশ্বের বুকে দাঁড়াক। কারণ এই জায়গাটা হচ্ছে অসংখ্য নবী-পয়গাম্বরদের স্মৃতি-বিজড়িত স্থান। মুসলমানদের প্রথম কিবলা বাইতুল মুকাদ্দাস এই মাটিতেই রয়েছে। ফিলিস্তিনের বঞ্চিত, ক্ষতিগ্রস্ত ভাই বোনদের প্রতি আন্তরিক ভালবাসা, শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। ফিলিস্তিনে যারা নিহত হয়েছেন আল্লাহ তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করুন এবং আহতদের মহান রব সুস্থতার নিয়ামাত দান করুন। ফিলিস্তিনের দুর্দশাগ্রস্ত সকল জনগণের প্রতি আমাদের দোয়া, ভালবাসা, সহযোগিতা ও সমর্থন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।”
ফিলিস্তিনের মান্যবর এ্যাম্বাসেডর মি. ইউসুফ সালেহ ওয়াই. রামাদান তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সম্মানিত আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ হওয়ায় আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। ফিলিস্তিন বিশেষ করে গাজা উপত্যকার প্রতি বাংলাদেশের জনগণের অর্থবহ ভালবাসা, সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য আমি ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সেই সাথে আমি ফিলিস্তিনের এ্যাম্বেসেডর হিসেবে আশা প্রকাশ করছি যে, ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বাংলাদেশ বিশেষ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অর্থবহ সমর্থন, সাহায্য, সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ।”
Discussion about this post